স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে জন স্বাস্থ্যবিষয়ক হেলথ ইমার্জেন্সি বা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় এখনও আসেনি। তবে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ আরও বাড়লে স্বাস্থ্যসেবা সংকটে পড়তে পারে।

আজ রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৫০০টি শয্যা থাকলেও সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ৬০০ জনের মতো। আমরা অতিরিক্ত কিছু শয্যার ব্যবস্থা সেখানে করেছি। সে অনুযায়ী যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা করছি।

মুগদার পরে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ডা. এ বি এম খুরশীদ বলেন, মুগদা হাসপাতালের আশপাশের জোনগুলো যেমন শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, কদমতলি, বাসাবো ,মুগদা থেকে শুরু করে রামপুরা পর্যন্ত পুরো এলাকাতেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। এসব রোগীদের বেশিরভাগই মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম সেখান থেকে কিছু রোগী অন্যত্র সরিয়ে নিতে। কিন্তু রোগীরা রাজি হননি। তারা তাদের বাসা বাড়ির কাছাকাছি থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

দেশে উদ্বেগজনক হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে উল্লেখ করে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের অন্য হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি ছিল, কিন্তু সেগুলো ধীরে ধীরে ভরে যাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো সংকট না থাকলেও সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আমরাও সংকটে পড়ে যাব।

অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগী ভর্তির তথ্য দিচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলন, যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগী ভর্তির তথ্য গোপন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।