তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি আশা করেছিল বিদেশি প্রতিনিধিরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, এটা কেউ বলেনি। কারও সঙ্গে কোনো আলাপে এ প্রসঙ্গটাই আসেনি। বিএনপির এক দফা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি দেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদের কারও সমর্থন তারা পায়নি।’

শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ইউজি ক্যাম্পাসে কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নয়াপল্টনের সামনে পুরো রাস্তাজুড়ে বড়জোড় ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয়, আরও ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে তো বেশি মানুষ হয়নি সেখানে। আর আওয়ামী লীগ ১২ ঘণ্টার নোটিশে তিনটা রাস্তাজুড়ে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে সমাবেশ করেছে। সবাই দেখেছে কতবড় সমাবেশ আওয়ামী লীগ করার ক্ষমতা রাখে।’

সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয়, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারে, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাব।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগাম-এর পরিচালক অধ্যক্ষ শাম্‌স ফররুখ আহমেদ, অনলাইনে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. রুবানা হক ও প্রফেসর শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।