গত মাসে ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবাগুলি কমপক্ষে ১৩ জন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাকে আটক করেছে এবং ১৫ জনকে বরখাস্ত বা চাকরিচ্যূত করেছে, বিষয়টির সাথে পরিচিত বেনামী সূত্রের বরাত দিয়েমার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
ডব্লিউএসজে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘সেনাবাহিনী থেকে ওয়াগনারের প্রতি সহানুভূতিশীলদের উৎখাতের জন্য এসব কর্মকর্তাদের আটক বা বরখাস্ত করা হয়েছে, যাদেরকে আর বিশ্বাস করা যায় না।’ প্রকাশনা লিখেছে, বেশ কয়েকজন আটক কর্মকর্তার ওয়াগনারের সাথে সম্পর্ক ছিল।
ডব্লিউএসজে দ্য মস্কো টাইমসের রাশিয়ান পরিষেবার রিপোর্টিং নিশ্চিত করেছে যে, তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদস্থ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে আটক করা হয়েছে। দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস, ব্লুমবার্গ এবং রাশিয়ার স্বাধীন অনুসন্ধানী আউটলেট আইস্টোরিস অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়ে যে, সুরোভিকিনকে হয় আটক করা হয়েছিল বা শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
ওয়াগনারের ২৩-২৪ জুনের বিদ্রোহের প্রায় তিন সপ্তাহ পরেও সুরভিকিনের হদিস এখনও অজানা।
ডব্লিউএসজে-এর সূত্র জানায় যে, সুরোভিকিনকে ‘পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ’ করা হচ্ছে এবং তাকে আটক কেন্দ্রে রাখা হয়নি – যেখানে রাশিয়ান কারাগারের মনিটররা জেনারেলকে সনাক্ত করতে অক্ষম হয়েছে। সংবাদপত্রটি লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘কীভাবে বিদ্রোহের ফলাফলকে পরিচালনা করবেন তা সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে সুরোভিকিনকে মুক্তি দেয়া হতে পারে’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিখাইল মিজিনসেভ, লজিস্টিকসের দায়িত্বে থাকা সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী যিনি ওয়াগনারকে অপসারণের পর এপ্রিলে যোগদান করেছিলেন, আটকদের মধ্যে ছিলেন। সুরভকিনের ডেপুটি আন্দ্রেই ইউদিন এবং সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান ভ্লাদিমির আলেক্সিয়েভকেও আটক করা হয়েছে এবং তাদের মুক্তির পরে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্রেমলিন বা রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কেউই মন্তব্যের জন্য ডব্লিউএসজে-এর অনুরোধে সাড়া দেয়নি।