অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রাম্য সালিশে ‘দোররা’ মেরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের বিয়ের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার আটমূল ইউয়িনের একটি গ্রামে গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে দোররা মেরে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। পরে সোমবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান, পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ জামে মসজিদের ইমাম শাহিনুর রহমান, কাজির সহকারী ইলিয়াস আলী ফকির, মালোগাড়ি গ্রামের মোজাফফর মণ্ডল, তোজাম মণ্ডল এবং মোজাম্মেল হক।
এজাহারে বলা হয়, ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী প্রবাসে থাকেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী আব্দুল মমিনকে (৩৭) তিনি সাংসারিক কাজে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় গ্রামের লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তাদের সারারাত আটকে রাখে। পরদিন সালিশ বসিয়ে দুজনকে ঘর থেকে বের করে মারপিট করা হয়। এ সময় প্রবাসে থাকা স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। পরে মসজিদের ইমাম শাহিনুর দুজনকেই ১০১টা করে ‘দোররা’ মারার নির্দেশ দেন।
সালিসের সিদ্ধান্ত অনুসারে, দুই লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, পলাতক বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।