নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সার্ভার থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি জানিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘আমাদের সার্ভার সুরক্ষিত আছে।’

তবে তিনি বলেন, ‘১৭১টি পার্টনারের সহযোগিতায় আমরা কাজ করি। তাদের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখবো। কারো মাধ্যমে যদি তথ্য ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাই তবে তার কাছ থেকে সার্ভিস বন্ধ করে দেবো।’

নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস নিয়ে রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এনআইডি ডিজি বলেন, ‘এনআইডি সার্ভার কোনো থ্রেটের মধ্যে নেই। ওয়েবসাইটের সাথে এনআইডির কোনো সম্পর্ক নেই। এনআইডি একটা পৃথক সাইট। ১৭১টি প্রতিষ্ঠান আলাদা আলাদাভাবে কানেকটেড। এনআইডি সার্ভার থেকে কোটি কোটি ডাটা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এনআইডি সার্ভারের সাথে অন্য কোনো সার্ভারের সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পেলে সেই অনুযায়ী কাজ করব। হাইকোর্টের নির্দেশনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। আমরা আমাদের সাইটে অ্যাবনরমাল হিট পাইনি। আমাদের সার্ভার পাবলিক প্রপার্টি নয়, এটা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সম্পদ। এখানে কেউ চাইলেই কিছু লিখতে বা নিতে পারে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এনআইডি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। নিয়মিত মনিটরিং করি কী পরিমাণ হিট আসছে। ১৭১টা পার্টনার সার্ভিস নিরাপদভাবে কাজ করছে। গতকাল নিউজ দেখার পর কাজ শুরু করেছি। এখানে একটা সাইট দুর্বল পাওয়া গেছে। তবে মাথাব্যথা হলে মাথা কাটবো না। এর সমাধান করবো, যাতে করে নাগরিক সেবা ঝুঁকিপূর্ণ না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সেবা নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার হ্যাক হতে পারে। এনআইডি সার্ভারে কোনো থ্রেট নেই।’