গাজীপুরে কারাগারের কনডেম সেলের টয়লেট থেকে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠণ করা হয়েছে। শনিবার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম- আমিরুল ইসলাম ওরফে রাশেদ উদ্দিন (৩৪)। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মধ্যচেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুরের এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয় কয়েদি আমিরুল ইসলাম ওরফে রাশেদ উদ্দিনকে। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলায় তাকে ২০১১ সালের ১৩ নবেম্বর নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তিনি আরো জানান, এ কারাগারের একই কনডেম সেলে আমিরুলসহ তিনজন কয়েদী থাকতেন। শনিবার ভোর রাত পৌণে তিনটার দিকে ওই কনডেম সেলের ভিতরে থাকা টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে বিছানার চাদরের ছেড়া অংশ দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আমিরুলকে ঝুলতে দেখে অন্য দুই কয়েদী। তাদের চিৎকারে কারারক্ষীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার, সহকারী সার্জন, ডেপুটি জেলার ও ডিপ্লোমা নার্সদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যেও একটি তদন্ত কমিটি কারাগারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আমিরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় এ হাসপাতালে আনা হয়। তার ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।