স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।ডিজিটাল থেকে স্মার্ট ও উন্নত দেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের সম্ভাবনাময় দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যপাশ্ববর্তী দেশ থেকে আমাদের দেশে ভয়ঙ্কর মাদক প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুরে ‘আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র উদ্বোধনী উনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ।এসময় মন্ত্রী আরো বলেন,মাদক খুব ভয়ঙ্কর নেশা, দাদার আমল থেকেই মাদক ছিল। সে সময় আফিম,গাজা খেয়ে মাদক সেবীরা চোখ লাল করে বসে থাকতো।

এর পরে দেশে হিরোইন আসে।হিরোইনের পর ইয়াবা এসেছে। এলএসডি ও ভয়ঙ্কর আইস এসেছে।এই সমস্ত ভয়ংকর মাদক গুলো আমাদের দেশে তৈরি হয়নি।এসব মাদক এসেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে।মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন,মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পরিধি ছোট ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি বিস্তৃত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর করা হয়েছে।

দেশে মাদক প্রবেশ আটকাতে বর্ডারে আমাদের বিজিবি রয়েছে।পুলিশ, আনসার,র‌্যাব বাহিনী সবাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে বলেছেন। আমরা সেই জায়গায় থাকতে চাই। এজন্য যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত হোক, যারাই মাদক ব্যবসায়ী হোক। তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের রিকভারীরা স্বাগত সঙ্গিত পরিবেশন করেন।শেষে অতিথিদের সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো.সাবিরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল,মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ড.মো. রাহেনুল ইসলাম, শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যন মো.মশিউর রহমান মামুন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের বিভিন্ন ইউনিট ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও রোগীদের সাথে কথা বলেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।উদ্বোধন হওয়া আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে মাদকে আশক্ত বা নিভর্রশীল ও মানসিক রোগীদের বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে ।৫০টি বেড ,খোলামেলা পরিবেশ,কেবিন,ডিল্যাক্স শয্যা,এ্যসিসমেন্ট,একক ও গ্রুপ কাউন্সিলিং সুবিধা,মেডিটেশন,কেস ম্যনেজমেন্ট লাইব্রেরি,শরীর চর্চার জন্য জিম,ধর্মচর্চাও ব্যবস্থা এ্যম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিদা থাকছে।