ঢাকায় এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইইউ থেকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে কিনা, সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবে দলটি।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেন প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য। আসার কথা রয়েছে আরও চারজনের। তবে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পরিচয় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি ঢাকায় ইইউ দূতাবাস।

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের পর্যবেক্ষক দলটি ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।

ইইউ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, এ প্রতিনিধি দলের মূল কাজ হবে ইইউর পর্যবেক্ষকদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, তাদের জন্য বাজেট, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, নিরাপত্তা ইত্যাদি মূল্যায়ন করা। এ ছাড়া তারা সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীলসমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ব্রাসেলস ফিরে গিয়ে তারা একটি প্রতিবেদন দেবেন।

ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি বাংলাদেশে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ খতিয়ে দেখবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এ সফর আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যবেক্ষকরা ব্রাসেলসে গিয়ে যে প্রতিবেদন দেবেন, তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানো বা না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ।

ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখবে। পাশাপাশি নির্বাচনের সময় ইইউর পর্যবেক্ষকরা আসতে পারবেন কিনা, সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ ও সরকারের নিশ্চয়তা পেলেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে আসবেন।

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইইউ। তবে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য নির্বাচন কমিশন আমন্ত্রণ জানালে ইইউ পর্যবেক্ষক না পাঠিয়ে দু’জন বিশেষজ্ঞ পাঠায়।