আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কথা শুনবো, কথা বিনিময় হবে। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।।

রোববার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ হস্তক্ষেপ তো করছে না। তারা পরামর্শ তো দিচ্ছে না। যার যার চিন্তা ভাবনা জানাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনবো এবং পরামর্শও নেবো। কিন্তু আমরা কারও নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকবো সেটি ভাবার কারণ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ বিরোধী কণ্ঠ। বাংলাদেশে বিরোধীদলের ব্যর্থতার সীমা নেই। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ, আন্দোলনেও তেমন। ১০ ডিসেম্বর তো দখল করে ফেলেছিল যে ১১ তারিখ থেকে খালেদা জিয়ার হাতে দেশ থাকবে। এমন অনেক লাগামছাড়া কথা তারা অনেকবার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা।

বর্তমানে বাংলাদেশে এমন একটি সরকার রয়েছে যারা কিছু লুকাচ্ছে না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে? ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলতে পারেন। জিয়াউর রহমান যখন দেশের প্রেসিডেন্ট তখন রংপুরে অভাবের তাড়নায় ২শ নারী অনৈতিক কাজে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের দৃশ্যপট এখনও দেখা দেয়নি। আমরা সচেতন আছি।

তিনি বলেন, শুনেছি তারা ৩৬ দলের রূপরেখা দিয়ে একদফা আন্দোলন করবেন। সেটি এখনও শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে কতদল এখান থেকে কেটে পড়ে সেটি দেখার বিষয়। কতগুলো দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটি দেখার বিষয়। আমরা খবর পেয়েছি ৩৬ দলের মধ্যে দর-কষাকষি চলছে, ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অবস্থান আমরা রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। রাজনীতির সঙ্গে যখন সশস্ত্র বা সহিংস কিছু যোগ হবে তখন পরিস্থিতিই বলে দেবে আমরা কী করবো। সেটা তো আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। দেশের জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরাও থাকবো। আমরা তো এরই মধ্যে শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছি। আমাদের ঘোষণাই আছে নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে, রাজপথে সতর্ক থাকবো।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞেস করেন তারা সংলাপ করতে রাজি আছেন কি না, এরপর আমরা বিবেচনা করবো। কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট একবার ডেকেছিলেন, নির্বাচন কমিশন দুইবার তাদের ডেকেছে- তারা আসেননি। তাদের মতামত কী সেটা আগে জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে- আমি বলেছি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। কত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটা দেখবেন। আমিই সবকিছু এ কথা আমাদের কারও মনে করা ঠিক না। আমি এখনও চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক, সেটা আমরা চাই।