লাখো হাজির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফার ময়দান। মঙ্গলবার (২৭ জুন) পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে তারা আরাফার ময়দানে উপস্থিত হন। এ দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা হলো সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা।
মসজিদ হারামাইন শরীফাইন (Haramain Sharifain) ফেসবুক পেজে ও সৌদির টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে হজের যাবতীয় কার্যক্রম।
এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বাসে চড়ে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করেন হাজিরা। এ সময় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এছাড়া অনেককে ফজর নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে নামিরাতে উপস্থিত হতে দেখা যায়। দিনের আলো ফোটার পর অনেকে পায়ে হেঁটেও আসতে থাকেন।
আজ মসজিদে নামিরাতেই হজের খুতবা পাঠ করবেন শেখ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ। এই মসজিদে জোহর ও আসর নামাজেও ইমামতি করবেন তিনি।
হাজিরা আজ আরাফার ময়দানে জোহর ও আসর নামাজ একসাথে পড়বেন। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া-মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন। সূর্যাস্তের পর সবাই মুজদালিফার উদ্দেশে গমন করবেন। সেখানে একসাথে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে রাত্রিযাপন করবেন। মুজদালিফা থেকে তিন জামারার জন্য তারা পাথর সংগ্রহ করবেন।
পরদিন মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এরপর কোরবানি করে মাথার চুল ছোট বা মুণ্ডন করবেন। তখন ইহরামের কাপড় বদলে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সায়ি (সাতবার দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনা থেকে তারা তিন দিন (বড়, মধ্যম, ছোট) ২১টি করে ৬৩টিসহ মোট ৭০টি পাথর জামারায় নিক্ষেপ করবেন। এরপর মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।