অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। ডিরেক্টরস গিল্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। সিদ্ধান্তটি আগামী ২০ জুন ২০২৩ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা পেশাগত কারণে নয়; বরং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বলে মনে করছেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, রাশেদা আক্তার লাজুকের স্বামী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জেবা জান্নাতকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করার কারণেই তার পেছনে লেগেছেন তারা।

জেবা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুঝতেছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণও জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’

জেবা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটা এক বছর আগের। এত দিনে এই ঘটনাটা তারা সামনে আনলেন। ওই সময় সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এর পরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও ফেস করি। যেমন অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করলেও তারা আমাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিতেন না।’

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ওই সময়ে নিয়ম ছিল রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না। তার পরও তারা গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং করাতেন। যাই হোক, প্রথম কয়েক দিন কাজ করলেও পরে ট্রান্সপোর্ট অসুবিধার কারণে আমি তাদের বলি, আমি এই কাজটা আর করতে পারব না। তো আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এর পর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান এই বলে, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।’

তিনি বলেন, ‘শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল; কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে থ্রেট দেন যে আমার মিডিয়ায় কাজ করা তারা বন্ধ করে দেবেন। এসব কারণে আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিই।’

জান্নাত বলেন, “ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজব্যান্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তা হলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। তো ওনার হাজব্যান্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এর পর থেকেই ওনারা ‘হাজব্যান্ড-ওয়াইফ’ মিলে আমার পেছনে লেগেছেন।”

তিনি বলেন, ‘শুধু আমার সঙ্গে নয়, এমন আচরণ তারা আরও অনেকের সঙ্গেই করেছেন; কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে তারা এমন অভিযোগ এনেছেন।’

জেবা জান্নাত টিকটকে প্রথম নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে নাটকে নাম লেখান। প্রথম তাকে দেখা যায় জয়নাল হাজারীর লাইভ শো অনুষ্ঠানে। পরে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত হন জেবা।

আফরান নিশোর সঙ্গে তার ‘ক্রস কানেকশন’ নাটকের একটি ক্লিপস ভাইরাল হয়। এ ছাড়া ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।