স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু বাড়ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে ঘাটতি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২০০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকায়। গত দুইদিনে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। হাসপাতাল ও চিকিৎসক-নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া উভয়ই মশাবাহিত রোগ। এটি মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছি। তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের গবেষণা টিম কাজ করছে। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য সিটি করপোরেশনকে দিচ্ছি। আমি আশা করবো সিটি করপোরেশন তার চেষ্টায় কোনো ঘাটতি রাখবে না। একইসাথে আমরা জানতে পেরেছি নতুন ওষুধ আনা হয়েছে। সেটি ভালো কার্যকর কিনা তা পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ম্যালেরিয়ায় এক সময় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ম্যালেরিয়া মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা নোংরা পানিতে জন্মায়। একটি মশা মাসখানেক বেঁচে থাকে এবং অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। তার জীবনকালে সে অসংখ্য মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। গত কয়েকবছরে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। এ বছর ১ হাজার ৪২৫ জন রোগী পাওয়া গেছে, বিপরীতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এর কারণ মশা কমেছে।

তিনি বলেন, সরকার ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসায় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দুর্গম এলাকায়ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে তিনটি পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব এখনও রয়েছে। সেখানে এখনও আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব এলাকায় বিশেষ নজর দিচ্ছি।

এছাড়া বর্ডার এলাকায় বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মশার জন্য তো কোনো বর্ডার নেই। কিন্তু ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মানুষ যেন বর্ডার পার করে আসতে না পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।