অবৈধ সম্পদ অর্জন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি এমএ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকাল ১০টায় শহরের ঝিলটুলি এলাকায় ফরিদপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ওসি এমএ জলিলের বিরুদ্ধে পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকা হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, ঘুষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব অভিযোগ তদন্ত করা হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নিয়ে বেনামী চিঠির বিষয়ে আমাকে ডাকা হয়েছিল। মার্কেট নির্মাণে বহু টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু মার্কেটটি সাবেক এসপি আলিমুজ্জামানের সময় নির্মাণ করা হয়। টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়। এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক করা হয়নি। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে।

ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন ও তার বিরুদ্ধে আনা অন্য অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওসি এমএ জলিল।