চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ ঘর থেকে মুখ ও হাত-পা বাঁধা এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানায় পিবিআই। গ্রেপ্তার অন্তর মিয়ার (২৫) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
এর আগে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি দেন অন্তর মিয়া। মজুরি আত্মসাতের প্রতিশোধ নিতে দুইজন মিলে সালাউদ্দিনকে খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকার ছেনোয়ারা বেগমের টিনশেড ঘর থেকে সালাউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ৩ মার্চ ঢাকার ধানমন্ডি থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আব্দুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বপন নামে একজনের বিষয়ে জানতে পারে পিবিআই। সেই স্বপনই অন্তর মিয়া বলে জানিয়েছেন পিবিআই। রোববার রাতে অন্তর মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, সালাউদ্দিন, অন্তর ও আব্দুর রহমান পূর্বপরিচিত। সালাহউদ্দিন পলোগ্রাউন্ডের বাণিজ্য মেলায় স্টল তৈরি, আসবাব আনা-নেওয়াসহ দিনমজুর হিসেবে ঠিকাদারের অধীনে কাজ নেন। অন্তর এবং আব্দুর রহমানও সালাহউদ্দিনের সঙ্গে একই কাজে যোগ দেন। তারা প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করতেন। সালাহউদ্দিন তাদের দৈনিক ৭০০ টাকা মজুরি দিতেন। কিন্তু একদিন তারা ঠিকাদারের কাছ থেকে জানতে পারেন, সকাল ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দুই শিফট ধরা হয় এবং প্রতি শিফট ৭০০ টাকা হিসেবে তাদের মজুরি আসে ১৪০০ টাকা। তারা বুঝতে পারেন, তাদের এক শিফটের মজুরি আত্মসাৎ করে আসছিলেন সালাউদ্দিন। এই ক্ষোভে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে খুন করে পালিয়ে যান দুই যুবক।