পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে যান এক কিশোরী। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সে অন্তঃসত্ত্বা বলে ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল রিপোর্টসহ ক্লিনিকটির নানা অনিয়মের বিষয়ে তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠন-সংক্রান্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাহিদা তাসনিম হিমিকে প্রধান ও মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম, স্যানিটারি পরিদর্শক আলমিন রহমান ও নার্সিং ইনচার্জ আকলিমা আক্তারকে সদস্য করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
সিভিল সার্জন বলেন, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে ক্লিনিকটিতে পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য এক কিশোরী এলে চিকিৎসক তাকে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলেন। ওই ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সন্দেহ হলে কিশোরীর স্বজনরা অন্য দুটি ক্লিনিকে গিয়ে একই পরীক্ষা করে জানতে পারেন, কিশোরিটি অন্তঃসত্ত্বা নয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জেনারেল ক্লিনিক অবরোধ করেন।
জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ইসলামের ভাষ্য– মেশিন নষ্ট বা যে কোনো কারণে মেডিকেল রিপোর্ট ভুল হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।