অবশেষে সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার বেলা দুইটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশ হবে। তবে ঘরোয়া এই কর্মসূচির জন্য দলটিকে মিলনায়তনের বাইরে জড়ো না হওয়াসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও আলেমদের মুক্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশ করছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের অনুমতি নিয়ে তারা সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করেছিল ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল জামায়াত।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা বলেন, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তিন শর্তে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। প্রথমত কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না এবং মিলনায়তনের ভেতরেই সমাবেশ করতে হবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার, দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।

রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয়, পুরানা পল্টনে মহানগর কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলো অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

এর আগে ৫ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল জামায়াত। ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।

অনুমতি চাইতে গেলে দলের চার আইনজীবীনেতাকে আটক করা হয়। অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বলেছিল, সাপ্তাহিক কর্মদিবসে সমাবেশ করলে যানজটসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। পরে জামায়াত কর্মসূচি স্থগিত করে ১০ জুন (শনিবার) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করে। পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুমতি দেয়।

আজকের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি–বিক্ষোভ সাধারণত উন্মুক্ত স্থানেই হয়। এ মুহূর্তে আমরা জনগণের দাবিগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। আশা করি, ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ বিষয়গুলো সমন্বয় করবেন।’