পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগুচ্ছে। ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে তিন পয়েন্ট রেললাইন নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে।

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙা ওয়াই জংশন পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

এ সময় মন্ত্রী রেললাইন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রায় ৮১ কিলোমিটারে অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। যশোর পর্যন্ত রেল চলবে আগামী বছরের জুনে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ, প্রকল্প পরিচালক আবজাল হোসেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ৩ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম শামস প্রমুখ।

ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগেট রেল লাইন বদলে দিবে দেশের অর্থনীতি। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে ২০ রেল স্টেশন। নতুন ১৪ স্টেশনে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। আর বাকি ছয় স্টেশনের চলছে আধুনিকায়ন। প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের চীনা ঠিকারদার সিআরইসি। কাজ তদরাকি করছে সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রাজধানী থেকে ভাঙা পর্যন্ত অংশে পাথরসহ রেললাইন স্থাপন বাকি মাত্র এক কিলোমিটার। ২৩ দশমিক তিন আট কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড রেল লাইনের বাকি সাড়ে ৫ কিলোমিটারে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কাজ শেষেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেল যাবে ভাঙা।