বাঘ আর রাখাল বালকের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনার নামে দুইবার সরকারের প্রতারণার স্বীকার হয়েছে বিএনপি। তৃতীয়বার আর প্রতারণার ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। আলোচনায় ডেকে কথা দিয়ে কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ।

শনিবার (১০ জুন) সকালে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু কোন ডেড ইস্যু নয়, লাইট ইস্যু। সরকারের বিরুদ্ধে তাই নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিজয়ী হতে পারবে না ক্ষসতাসীনরা।

তিনি বলেন, ২০১৪-১৮ এর মত আবারও সেপথে যেতে চায় সরকার, প্রশ্নই উঠে না, জনগণ সেদিকে যাবে না। ২০১৪-১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আলোচনায় গিয়ে কোন সুফল আসেনি। তারা প্রতারণা করেছে।

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া আর কোন কথা শুনতে রাজি নয় বিএনপি উল্লেখ্য করে দলটি মহাসচিব বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, যাদের অধীনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়নের সমুদ্র দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু গণতন্ত্রবিহীন উন্নয়ন টিকে থাকে না, তাই হয়েছে। আন্তর্জাতিকমহল বাংলাদেশকে রোলমডেল বললেও তারা এখন এটাকে বলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে। বাংলাদেশ এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাচ্ছে, তারা বলছে।

ফখরুল বলেন, যে বিমান চলতেই পারছে না, তারা নাকি এয়ারবাস কিনতে চাইছে। বোয়িং বাদ দিয়ে এয়ার বাস কেনার মূল কারণ হচ্ছে কমিশনের জন্য।

ভিসানীতির কারণে টাকা পয়সা যারা রাখছে সেখানে নিরাপদ মনে করা হচ্ছে না বলে আবার পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনলে ইনসেন্টিভ দেওয়ার ঘোষণা মূলত পাচারকারীদের পুরস্কৃত করা বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ নাই, লোডশেডিং, জ্বালানি নেই, পাওয়ার প্লান্ট নেই। এত যে ঢোল বাজালো সরকার সেই রিজার্ভ গেলো কই। বিদ্যুৎ বিলের বাড়তি বোঝার টাকা গেলো কোথায়? সব কিছুর মূল হচ্ছে চুরি। বাংলাদেশকে প্রচণ্ড রকমের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে সরকার। এজন্যই তাদের আর ক্ষমতায় থাকার কারণ নাই বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।