যে কথা তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পরিবারের সবাই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে খুশি। এটাও ঠিক, প্যারিস ছেড়ে আসায় তাদের মন খারাপও হচ্ছে। প্রথমদিকে প্যারিসে মানিয়ে নেওয়া তাদের জন্য কষ্টের ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা মানিয়ে নিয়েছে। স্কুলে বাচ্চাদের বন্ধু হয়েছে, এখন তাদের ছেড়ে যাওয়াটাও কষ্টকর। আমার বাচ্চারা এখন বড় হচ্ছে, থিয়াগো এখন সব পরিস্থিতি বুঝতে শিখেছে এবং সে নতুন জায়গায় যাবে বলে খুশি মনেই তৈরি হয়ে আছে।’
নিজের তিন ছেলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এখন সব কিছু করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেসি। হয়তো সে কারণেই ২০২১ সালে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন। আটলান্টিকপাড়ে বহুতল ভবনের ৯ তলার পুরোটার মালিকানা মেসির।
ডেইলি মিররের খবর, আর এই শহর-ওই শহর নয়, একটি জায়গায় স্থায়ী থেকে সন্তানদের পড়ালেখার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে চান মেসি। ফ্লোরিডার স্কুলেই ছেলেদের ভর্তি করতে চান। তা ছাড়া আইলেস সমুদ্রসৈকতের এই এলাকাটিতে লাতিনদের বসবাস বেশি। শহরটি এমন, যেখানে নিজেদের ভাষাতেই তারা বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করেন।
সব মিলিয়ে আপন একটা বলয় এই শহরেই খুঁজে পেয়েছেন মেসি। তার এই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে নিজস্ব সুইমিং পুল ছাড়াও জিম, স্পা, বহুতল ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের মতো বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। পুরো মিয়ামি শহর দেখা যায় এই ভবনটি থেকে। জীবনের বড় একটি সময় হয়তো তাকে এখানেই কাটাতে হবে, তাই সব গুছিয়েই মিয়ামি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি।