বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে অবশ্যই বেশি করে বই পড়তে হবে। জাতিকে পরিচালনা করতে তাদেরকে ভালো পড়াশোনা করে, জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
রোববার (৪ জুন) বিকেলে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে ভার্চুয়ালে সারাদেশের ১৫টি জেলায় ও মহানগরের পাঠাগার উদ্বোধন করে সংগঠনটি।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তির সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখন বই পড়ি না। শুধু আমাদের ছেলেদের কথা বলছি না। আমরা সবাই এখন ইন্টারনেটে থাকি, ইউটিউব দেখি। বই পড়াতে সময় দিতে চাই না।’
‘এই পাঠাগারের মধ্য দিয়ে আমাদের নেতারা বই পড়ে, আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় যেন কাজ করতে পারে- এটাই প্রত্যাশা,’ বলেন তিনি।
বর্তমান সরকার কিন্তু পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার জেলা ও মফস্বলে পাঠাগারগুলো ছিল তা বন্ধ করে দিয়েছে। তা আর নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে বলছি না, সব ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢোকানো ঠিক না। জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের মধ্য দিয়ে আমরা যেন গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের দল বিএনপির প্রত্যেকটি জেলায় পাঠাগার আছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের মাধ্যমে একটা আলোকনির্ভর তরুণের সন্নিবেশ ঘটেছে। এটা প্রাতিষ্ঠানিক পাঠাগার। এখানে এসে রাজনীতিবিদরা পড়াশোনা করবেন, আলো ছড়িয়ে দিবেন- এটাই প্রত্যাশা। মানুষ জন্মের সময় স্বাধীনভাবে জন্ম নেয়, জন্ম নেয়ার পর কিন্তু হাত-পায়ে শিকল পরানো হয়। এখান থেকেই কিন্তু গণতন্ত্র বিষয়টি চলে আসে।