গাজীপুরের কোনাবাড়িতে শিশু কান্নার উৎস খুঁজতে গিয়ে দরজাবদ্ধ ঘর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। শনিবার মহানগরীর কোনাবাড়ি থানার দক্ষিণ হরিনারচালার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম মোছা. মরিয়ম খাতুন (৩৩)। তিনি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মো. জয়নাল যাত্রীবাহী আজমেরী পরিবহন সার্ভিসের সুপারভাইজার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানাধীন দক্ষিণ হরিনারচালার গ্রামের মো. ইকবাল হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী মোছা. মরিয়ম খাতুন ও চার বছর বয়সী সন্তান নুসরাত জাহান মায়াকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন জয়নাল। শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে তারা ভাড়া বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন (শনিবার) সকালে পাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা মরিয়মের শিশু সন্তান মায়ার ডাকাডাকি ও কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে ঘরের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে বন্ধ দেখতে পান। পরে তারা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে গলায় গামছা পেঁচানো মরিয়মের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এসময় নিহতের স্বামী জয়নালকে ঘরে পাওয়া যায়নি।
জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর জয়নাল পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।