বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের শিক্ষক স¤্রাট কুমার দে ’র দেশে শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের লক্ষ্যে এবং জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা নির্ণয়ে, “নতুন কুঁড়ি” নামে মেশিন লার্নিং ভিত্তিক একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি শীর্ষক প্রকল্প আইসিটি উদ্ভাবনী ফান্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম. মেজবাহ উদ্দিন রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মূলত জন্মের পরে ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হলে তাকে নবজাতকের মৃত্যু বলা হয়। বাংলাদেশে নবজাতক শিশুর মৃত্যু হারের অন্যতম প্রধান কারণ জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা বা ইরৎঃয অংযঢ়ুীরধ। ইউনিসেফ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে সর্বমোট শিশু মৃত্যুর হার হিসেবে ২৩% শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো ইরৎঃয অংঢ়যুীরধ বা জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা। তাই দেশে শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের লক্ষ্যে এবং জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা নির্ণয়ে, “নতুন কুঁড়ি” প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের নির্দিষ্ট হাসপাতাল থেকে নবজাতক শিশুর কান্না সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইরৎঃয অংঢ়যুীরধ বা জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা নির্ণয় করা হবে।
“নতুন কুঁড়ি” সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক স¤্রাট দে বলেন “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতে অগ্রগামী প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রথমবার নবজাতক শিশুর কান্না বিশ্লেষণের মাধ্যমে জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা নির্ণয় এবং দেশের প্রথম নবজাতকের কান্নার ডাটাসেট তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।“
অতিসম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আইসিটি উদ্ভাবনী ফান্ডের আওতায় “নতুন কুঁড়ি” প্রকল্পটি মনোনীত হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ মনে করে, প্রকল্পটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অভিনব উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন সেবা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।