একাধিক মামলায় ইমরান খানকে জামিন দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। মঙ্গলবার ‘কাপ্তান’কে স্বস্তি দিয়ে ৮ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ আসেন ইমরান খান। এদিন পাক রাজধানীর জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে শুনানি শেষ চলে। সহিসতার আটটি মামলায় তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধানকে জামিন দেয় আদালত। ফলে আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বলে রাখা ভাল, ১৮ মার্চ তোষাখানা মামলায় জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন ইমরান। তখনই সেখানে তাণ্ডব চালায় তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা। ওই ঘটনায় ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পর থেকেই দেশটিতে কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের মতে, একদা পাক সেনার পোস্টার বয় ছিলেন ইমরান। সেই সমীকরণ পালটে যেতেই ফৌজের বিষনজরে পড়েছেন ‘কাপ্তান’। তাকে গদিচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে একথা বারবার বলেছেন তিনি। এবার সেনার অঙ্গুলি হেলনেই ইমরানকে জেলে পুড়তে মরিয়া শাহবাজ শরিফের সরকার।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অনেকে মনে করছেন ইমরান ইস্যুতে শাহবাজ সরকারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিচারবিভাগ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে প্রয়োজনের থেকে বেশি ‘ছাড়’ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল! তাই তার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের পার্লামেন্ট! ফলে সেনা ও সরকারের সঙ্গে বিচারবিভাগের সংঘাত স্পষ্ট। সূত্র: টাইমস নাউ।