ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় নিজের ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন বাবা। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ঘটনাটি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার। নিজের ফেসবুকে বাবা রাসেল মোল্লা তার বড় ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্রের (২২) ছবি দিয়ে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন।

ফেসবুক দেওয়া পোস্টে রাসেল মোল্লা বলেন, ‘প্রিয় কলাপাড়াবাসী আসসালামু আলাইকুম। আমার ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র, সে আমার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ানোর কারণে তাকে আমার পরিবার থেকে ত্যাজ্য পুত্র ঘোষণা করলাম। আজ থেকে আমার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক নাই। বর্তমানে আমি নিজেও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়, আগামীতেও জড়িত হবো না।’

জানা যায়, আলিফ মাহমুদ রুদ্র কলাপাড়া ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। ছাত্রলীগের কলাপাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার বাবা কলাপাড়া উপজেলার সাবেক স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মোল্লা বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে গেছি। আমি আগে রাজনীতি করতাম, কিন্তু এখন পছন্দ করি না। আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করুক সেটা আমি চাই না। এ জন্য, আমি তাকে ত্যাজ্য পুত্র ঘোষণা করেছি। খুব শিগগিরই কাগজ-কলমে তাকে ত্যাজ্য করা হবে।’

ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র বলেন, ‘আমি আমার বাবার বাসায় থাকি না। ছোটবেলা থেকেই আমি ছাত্রলীগকে পছন্দ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করি, এ জন্য আহত হয়েছি কয়েকবার। পরিবারের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক নেই। আমি ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ।’

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ত্যাজ্য করার বিষয়টি তাদের পারিবারিক ব্যাপার। তারপরও রুদ্র যদি ছাত্রলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকেন, অবশ্যই তাকে মূল্যায়ণ করা হবে। বাংলাদেশে লাখ লাখ ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছে, তাদের বাবারা গৌরব করে তার সন্তানদের নিয়ে। এর কারণ তার ছেলে ছাত্রলীগ করে।’