আমি মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী হলেও আমি একজন নারী। অথচ প্রতিপক্ষের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তার লোকজন দিয়ে প্রতিনিয়ত আমার নির্বাচনী কাজে বাঁধা দিচ্ছে। অথচ অন্য প্রার্থীরা নির্বিঘেœ তাদের নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। শুক্রবারেও আমাকে ও আমার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করতে আমাকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। আমি আমার কর্মী ও ভোটারসহ আমাদের নিরাপত্তা চাই। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। আগামী ২৫ তারিখে আমার টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয় করার মাধ্যমে নগরবাসী তার জবাব দিবে ইনশায়াল্লাহ।
মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন শুক্রবার দুপুরে নগরীর তার ছয়দানাস্থ বাসভবন প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও ছেলে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীরা যখন প্রচার-প্রচরনা করে তখন প্রতিটি নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন ভাবে কৌশলে বাধা দিচ্ছে। নগরীর কোন স্থানে পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার লাগালেও সেগুলো ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি সুষ্ঠু ভোট করতে না পারেন তবে সব প্রার্থীদের ডেকে বলেন আমরা প্রার্থীতা ছেড়ে দেই। আপনারা ভোটকে অসম্মান করবেন না। জনগণ যাকে ভোট দেবে রায়টা যেন তার পক্ষেই যায়।
তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, গত চার দিন ধরে টঙ্গীতে প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান তার নিজস্ব লোক দিয়ে আমাদের উপর হামলা ও নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। তারা আমাকে ও আমার মাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমাদের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমন করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন প্রশাসনের কিছু লোক আছে যারা এলাকা ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন তারা আমার কর্মীদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে এবং মোবাইলে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।