গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। পোস্টারে ছেয়ে গেছে মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। সবখানেই যেন সাজ সাজ রব। সবকিছু ছাপিয়ে এ নির্বাচনে পলিথিনের লেমেনেটিং পোস্টার নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার সবখানেই যেন পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার টানানোর প্রতিযোগিতা চলছে। নির্বাচনের পর এ পোস্টারগুলো পরিবেশ দূষণের কারণ হবে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
গাজীপুর শহর ও আশপাশের এলাকা ঘুরে পলিথিনে মোড়ানো হাজারো পোস্টার দেখা গেছে। কাউন্সিলর থেকে শুরু করে মেয়র পদের প্রার্থীরা কেউ বাদ যাচ্ছেন না এ পোস্টার ব্যবহারে। অথচ পরিবেশবান্ধব প্রচারণা নিশ্চিতে গাজীপুরে গত ১৫ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন পোস্টারে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে কঠোর ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।
এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে একজন আইনজীবীর উচ্চ আদালতে রিটের আদেশে যে কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারা দেশে লেমিনেটেড পোস্টার তৈরি ও প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। অথচ এতকিছুর পরও গাজীপুরে অবাধে টানানো হচ্ছে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক হাসান ইউসুফ খান বলেন, নগরজুড়ে হাজারো সমস্যা, এর ওপর এখন তৈরি হয়েছে পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর পলিথিন নিয়ে ভাবনা। এ নির্বাচনে ৩২৩ জন প্রার্থী যেভাবে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার ব্যবহার করছেন,তা তে কয়েক টন পলিথিন তৈরি হয়ে তা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। এসব পলিথিন পচনশীল না হওয়ায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জলাবদ্ধতাও তৈরি করবে।
গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ‘আমরা হজারো চেষ্টা করেও জেলায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে পারছি না। আর এখন যেভাবে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার সাঁটানো হয়েছে তাতে নগরজুড়ে পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করছে। আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি, যাতে তারা তা (পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার) অপসারণ করেন।’
এ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।