গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন হবে সম্পূর্ণভাবে জনগনের সিটি কর্পোরেশন। যেখানে কোন লাল, নীল বাতি থাকবে না। জনগন যে কোন সময় তার সমস্যার কথা সরাসরি মেয়রের সঙ্গে বলতে পারবে। নির্বাচনে আমি মেয়র পদে নির্বাচিত হলে এ সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতি মুক্ত সেবা প্রতিষ্ঠাণে পরিনত করবো। সিটি কর্পোরেশনে আমি জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে চাই। সিটি কর্পোরেশনের মালিক মেয়র বা জনপ্রতিনিধিরা নয়, এই সিটি কর্পোরেশনের মালিক এ নগরীর জনগন।
মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতিকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমতউল্লা খান সদর থানা এলাকায় গণসংযোগকালে কাউলতিয়া জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বিগত দিনে সিটি কর্পোরেশনের নানা দূর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা উঠিয়ে নেওয়া হল। অথচ করোনার শুরু হল ১৮ তারিখ, ২০ তারিখ সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষির্কীর অনুষ্ঠান হয় নি। সে টাকাও সিটি কর্পোরেশনে জমা দেয়া হয়নি। সিটি কর্পোরেশন অফিসের লিফট ও ২০টি এসি লাগানোর জন্য টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত তা লাগানো হয়নি। এভাবে টাকা তশরুপ করা হয়েছে। এটা একটা দুনীতিযুক্ত সিটি কর্পোরেশন হওয়ার কারণে আমাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। মানুষের সেবাগুলি আমরা মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারিনি।
তিনি সিটি নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন এ সিটি কর্পোরেশন হবে সম্পূর্ণভাবে দুনীতি মুক্ত একটি সিটি কর্পোরেশন। তিনি বলেন, আপনারা প্রশ্ন করে বলতে পারেন নির্বাচন আসলে এমন কথা সবাই বলে। তবে আমি শুধু কথার কথা বলি না। আমি আপনাদের সামনে প্রমাণ তুলে ধরতে চাই। আমি তিনবার টঙ্গী পৌরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যান ছিলাম। এত চেষ্টা করেও আমার বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগ আনতে পারে নি। তিনি বলেন, কখনো আমার দল ক্ষমতায় ছিল না। পর পর চারবার আমি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। শুধু বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জাইকা আমাকে ৪ বার শ্রেষ্ঠ মেয়র বা চেয়ারম্যান উপাধি দিয়েছিল। তাদের অর্থে স্থানীয় সরকার কিভাবে পরিচালিত হবে, জাতিসংঘসহ ২৮টি দেশের ৪২টি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, যার ৮টিতে আমি ছিলাম বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের টীম লিডার। এই অভিজ্ঞতা আমি সিটি কর্পোরেশনের কাজে লাগাতে চাই ।
পথসভায় আজমত উল্লা খানের সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিষ্টার সাজ্জাত হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও তিনি সালনা, মাস্টার বাড়ী, ভীম বাজার, পোড়াবাড়ী এলাকায় গনসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এসব পথসভায় নৌকার সমর্থনে মানুষের ঢল নামে।