১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমকে হত্যার ৪৮ বছর পর মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন নিহতের কন্যা সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান। থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের নির্দেশে মেজর জলিল সংসদ ভবন এলাকায় বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাঁর বাবা কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমকে হত্যা করেছেন।
খন্দকার নাজমুল হুদা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৮ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ২৭ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্রথম কমান্ড্যান্ট খন্দকার নাজমুল হুদা ৪৪ ও ৭২ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন।
নাজমুল হুদা দেশ স্বাধীনের পর প্রথমে যশোর ক্যান্টনমেন্ট, এরপর ঢাকা ও পরে কুমিল্লায় দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি রংপুর সেনানিবাসে দায়িত্বরত ছিলেন। সেখানে থাকার সময়ই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার খবর পান। রেডিওতে খবর পেয়েই তিনি খালেদ মোশাররফ ও তৎকালীন সেনাপ্রধান সফিউল্লার সঙ্গে কথা বলেন বলে তাঁর স্ত্রী নীলুফার হুদার বরাতে এই তথ্য জানা যায়।