বিজয় দিবস উদযাপনের মস্কোর প্রস্তুতির মধ্যেই ইউক্রেনজুড়ে বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপাণাস্ত্র ও বিমান হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আলজাজিরার।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহে রাশিয়া তার সবচেয়ে বড় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একটি শুরু করায় বিমান হামলায় ইউক্রেনে চারজন নিহত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাতারাতি ড্রোন হামলা ইউক্রেনের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে ১২৭টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, এতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ওডেসায় আটটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যেখানে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ওডেনায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর বার্তায় বলা হয়েছে, ‘শত্রু বাহিনী ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬/১৩১ ড্রোন দিয়ে সারারাত কিয়েভ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহায়তায় ৩৫টি শাহেদ ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো পৃথক বার্তায় জানান, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ রাজধানীর ভিয়াতশিনস্কি জেলায় আবাসিক ভবন ও গাড়ির ওপর পড়ে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সোলোমিয়ানস্কি জেলাতেও পড়েছে বলে বার্তায় বলা হয়।

মঙ্গলবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪৫ সালে নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করার স্মরণে প্রতি বছর ৯ মে ‘বিজয় দিবস’ উদযাপন করে আসছে মস্কো। দিনটিতে মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করে রুশ সরকার। সেখানে প্রতিবছরই বিশেষ ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বাখমুতে গোলাবর্ষণের মাত্রা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। অবরুদ্ধ শহরটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের এক শীর্ষ জেনারেল জানান, রুশ ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠী বাখমুতে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার পরপরই হামলা বাড়িয়েছে।

এদিন ইউক্রেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে কয়েক ঘণ্টা বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বাজতে থাকে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ইউক্রেনে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।