বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে পাঁচদিন পর গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ফিরেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তিনি বাসায় পৌঁছান।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা রহমান সিঁথি ছিলেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার যুগান্তরকে জানিয়েছেন, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়ার যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাসায় তার চিকিৎসা চলবে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যেসব পরীক্ষা করানো হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে চিকিৎসকদের বোর্ড তার বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ঢাকায় গুলশানের বাসায় ফিরেছেন। বাড়িতে থেকেই তার চিকিৎসা চলবে।

গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত চেকআপের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তার হার্টে একটি স্টেন্ট স্থাপন করা হয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে তাকে কারামুক্তি দিয়ে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়। এখন তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় থাকেন। এরমধ্যে কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।