প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে বলে জার্মানি জানিয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন অনেকটাই সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জার্মান প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে বহু কিলোমিটার দূরের মিসাইল ট্র্যাক করা যায়। শত্রুর ছোঁড়া মিসাইল ধ্বংস করা যায়।–ডয়েচে ভেলে

আবার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে মিসাইল হামলা চালানো যায়। শত্রুর বিমান এবং ড্রোন ধ্বংস করা যায়। ইউক্রেন বহুদিন ধরে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাতে পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম জার্মানি ব্যবহার করে। জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই একটি করে প্যাট্রিয়ট ইউক্রেনকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল। বুধবার জার্মানি জানিয়েছে, তাদের প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনের কাছে পৌঁছে গেছে।

ইউক্রেনও এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। ইউক্রেনের সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘দেশের আকাশ এখন অনেকটাই বিপদ মুক্ত। জার্মান প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম পৌঁছে গেছে।’ বস্তুত এর আগে কীভাবে এই সিস্টেম চালাতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে। জার্মানি নিজের দেশেই এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর একটি দেশে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

নেদারল্যান্ডস জানিয়েছে, প্যাট্রিয়টের যন্ত্রাংশ এবং মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে তারা। আর তাই জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডস তিনটি দেশকেই ধন্যবাদ জানিয়েছে ইউক্রেন। এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বুধবার পর্তুগালের রাজধানীতে পৌঁছেছেন। সেখানে ওই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। পর্তুগাল এবং জার্মানি একত্রে ইউক্রেনকে আরও সাহায্য দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

মূলত এর আগে লিওপার্ড ২ ট্যাংক ইউক্রেনকে দিয়েছিল পর্তুগাল এবং জার্মানি। সেই ট্যাংক যুদ্ধে ইউক্রেনকে যথেষ্ট সাহায্য করছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। জার্মানি বলেছে, আগামী আরও বেশ কিছুদিন ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে শেষদিন পর্যন্ত জার্মানি ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাবে।