বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সম্পদ পাচার করে বেগমপাড়ায় বাড়ি বানায় আওয়ামী লীগের লোকেরা।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে কেন? কারণ, তারা এই সরকারের লুণ্ঠন ও অপকর্ম জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চেয়েছিল। এজন্য এই সরকারের খুনিবাহিনী তাদেরকে হত্যা করে। তাদের মামলার হেয়ারিং বার বার পেছানো হচ্ছে। প্রকৃত বিচার হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট অনেকেই ফেঁসে যাবে। তাই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তারেক রহমান আরো বলেন, স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাকির হোসেন তার ক্ষুধা ও কষ্টের কথা সাংবাদিকের কাছে তুলে ধরেছেন। সেই কথা প্রকাশ করার কারণে সাংবাদিককে রাতের আধারে তুলে নেয়া হয়েছে। এক যুগ ধরে ডিজিটাল সিক্যুরিটি অ্যাক্টের নামে বহু মানুষকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জেলের মধ্যেও অনেককে খুন করা হয়েছে। জনগণ তাদের নিজেদের ভোট দিতে পারছেন না। প্রতিবাদ করলে গুম-খুন করা হয়। শুধু বিএনপির নেতাকর্মিরাই গুম খুন হচ্ছেন না, সাধারণ মানুষও গুম খুনের শিকার হচ্ছেন।

তারেক রহমান বলেন, বিদ্যুৎখাতকে দুর্নীতির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এই সরকার। মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। কুইক রেন্টালের নাম করে জনগণের সম্পদ লুট করা হচ্ছে। সরকারের দল ও আওয়ামী লাগ স্বজনরা এসব কাজ করছেন। বিল পরিশোধ করছেন ডলারে, এটাই তাদের দুর্নীতির অন্যতম উৎস ও কৌশল।

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের সম্পদ লুট করে বিদেশে বেগমপাড়ায় বাড়িঘর করার ঘটনা বিদেশিরাও জানেন। ডয়চে ভেলে তথ্য প্রমাণ দিয়ে নিউজ করে এই সরকারের গুম খুনের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এই সরকারের দুর্নীতি স্বীকৃত এবং প্রমাণিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, বর্তমান এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটাতে বিএনপি নেতাকর্মিদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে।

যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো: মজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, শেখ হাসিনার ইতিহাসে লেখা থাকবে তিনি ‘নিশি রাতের ভোট চোর’।

আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো: রহমতুল্লাহ, এবায়েদুল হক চান, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির প্রমুখ।