দুই ওপেনার বিদায় নিলেও সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান। আশা জাগালো ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহের। তবে চমৎকার হ্যাটট্রিকে তা হতে দিলেন না ম্যাট হেনরি। পরে অবশ্য নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ন্যূনতম লড়াইও করতে পারল না নিউজিল্যান্ড। গতিময় পেসার হারিস রউফের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে বড় জয় পেল বাবর আজমের দল।

লাহোরে শুক্রবার রাতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮৮ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ১৮২ রান তাড়ায় ২৭ বল বাকি থাকতে ৯৪ রানে গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান রউফের। ১৮ রানে তিনি নেন ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে তিনি কেবল একবারই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেটি ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই নিয়েছিলেন।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউ করার পর বাবরকে বোল্ড করে দেন অ্যাডাম মিল্ন। পাল্টা আক্রমণে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফখর ও আইয়ুব। ৭৯ রানের বিস্ফোরক জুটি ভাঙে আইয়ুবের রান আউটে। ২৮ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারে তিনি করেন ৪৭ রান। একটু পরে সোধির করা চতুর্দশ ওভারের শেষ বলে ফখর ফেরেন ৪৭ রানেই। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৩৪ বলের ইনিংসে চারটি চারের পাশে ছক্কা দুটি।

তাদের ফেরার মাঝে পাকিস্তান হারায় আরও দুটি উইকেট। ত্রয়োদশ ওভারে পর পর দুই বলে হেনরি ফিরিয়ে দেন শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদকে। পরে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে হেনরি পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের এটি চতুর্থ হ্যাটট্রিক। দ্বাদশ ওভারে ২ উইকেটে ১০৯ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর ছিল পাকিস্তান। দ্রুত ওই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ১৩১/৬। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ (১৬ বলে ২২) ও রউফের (৫ বলে ১১) ছোট ছোট অবদানে ২০০ রানের কাছে যায় পাকিস্তানের সংগ্রহ।

প্রথম তিন ওভারে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারানো নিউজিল্যান্ডকে টানতে পারেননি কেউ। অনেকটা সময় টিকে থাকা টম লাথামকে এলবিডব্লিউ করে শিকার শুরু করেন রউফ। পরে এক ওভারে জেমস নিশাম ও রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে সফরকারীদের ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে দেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের অবস্থা হতে পারত আরও খারাপ। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করা মার্ক চাপম্যান জীবন পান মাত্র ২ রানে। আর কেউ ছাড়াতে পারেননি বিশের ঘরও। মাত্র ৮ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৯.৫ ওভারে ১৮২ (রিজওয়ান ৮, বাবর ৯, ফখর জামান ৪৭, আাইয়ুব ৪৭, শাদাব ৫, ইফতেখার ০, ওয়াসিম ১৬, আশরাফ ২২, আফ্রিদি ১, রউফ ১১, জামান খান ০*; হেনরি ৪-০-৩২-৩, মিল্ন ৪-০-৫১-২, লিস্টার ৩.৫-০-৩০-২, নিশাম ৩-০-১৮-১, সোধি ৪-০-৩৪-১, রবীন্দ্র ১-০-৯-০)

নিউজিল্যান্ড: ১৫.৩ ওভারে ৯৪ (ল্যাথাম ২০, বাওয়েস ১, ইয়াং ২, মিচেল ১১, চাপম্যান ৩৪, নিশাম ১৫, রবীন্দ্র ২, মিল্ন ৩, সোধি ৩*, হেনরি ০, লিস্টার ০ ; আফ্রিদি ২-০-১১-১, জামান ২-০-৭-১, আশরাফ ২-০-১৭-১, রউফ ৩.৩-০-১৮-৪, ইফতিখার ২-০-১০-০, শাদাব ৩-০-২৯-১, ওয়াসিম ১-০-২-২)

ফল: পাকিস্তান ৮৮ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: হারিস রউফ