আজ ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। দিনটি উৎযাপনের জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ উদ্যোগে এদিনটি পালন করছে। সরকারি-বেসরকারি নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে।

এদিকে শুক্রবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাজধানী ঢাকার রমনার বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩০–এর অনুষ্ঠান। তবে এবার বর্ষবরণ অনুষ্টানে অন্য বারের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি কম ছিলো। কারণ এখন চলছে পবিত্র রমজান মাস তাই এমনটি হয়ে বলে জানান অনেকে। অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে।

প্রায় ২ ঘণ্টা সঙ্গীত পরিবেশনার পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছায়ানটের শিল্পীরা জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তাদের অনুষ্ঠান শেষ করে। প্রতিবারের মতো এবারের আয়োজনেও অসংখ্য শিল্পী অংশগ্রহণ করেন।

১৪ এপ্রিল শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভৈরব সুরে শুরু হয় ছায়ানটের রমনায় বর্ষবরণের আয়োজন। প্রায় আট মিনিটের এই পরিবেশনার পর শুরু হয় তাদের গানের পালা।

সরজমিনের দেখা যায় ছায়ানটের শতাধিক শিল্পী তাদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে এক কণ্ঠে বরণ করে নিয়েছেন। সাথে সাথে প্রকৃতির গান, মরমি গান, মানবপ্রেম ও দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-আত্মজাগরণের গানে সাজানো ছিলো তাদের অনুষ্ঠান।

শুরুতে আহির ভৈরবের পর প্রথমে সমবেত কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর একক গানে ফুটিয়ে তুলছেন প্রকৃতি, মানবপ্রেম, দেশপ্রেম ও আত্মবোধনের অনুভব। গানের ফাঁকে ফাঁকে আবার কবিতা আবৃত্তিও স্থান করে নেয় এ বিশেষ অনুষ্ঠানে।

আগের বলা হয়েছে, রমজান মাসের কারণে এবারের আয়োজনে অন্যান্য বারের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি কম হলেও সকাল থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে কিছু মানুষ। বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানমালা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অন্যদিকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা পার্ক, বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।