সাড়ম্বর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ছিল পাঁচ স্তরের কঠোর নিরাপত্তাবলয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার বিভিন্ন ব্যবস্থা ছিল। বিশ্বে শান্তির বারিধারা নেমে আসুক, এই প্রত্যয়ে এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘বরিষ ধরার মাঝে শান্তির বারি’।

সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল পুলিশের সোয়াত টিম, এরপর মোটরসাইকেলে র‍্যাবের একটি দল। তাদের পেছনে ছিল ডিএমপি পুলিশের একটি দল। এরপর ছিলেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা। এ ছাড়াও ড্রোন উড়িয়ে পুলিশ এবং ডিবির সদস্যরা শোভাযাত্রাস্থল ও আশপাশের জায়গা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন।

তাঁদের পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও এএসএম মাকসুদ কামাল, চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় ছিলেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। শোভাযাত্রার পেছনে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে ছিল তল্লাশিচৌকি।

শোভাযাত্রাকে ঘিরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কাঁটাবন মোড় থেকে মৎসভবন মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। চতুর্দিকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ যেন ঢাকাবাসীসহ দেশের সব বাঙালি উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারেন, সেজন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে সেখানে। রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক প্রায় দুই হাজার ৭০০ পুলিশ কাজ করছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি হুমকি নেই।’