শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে থাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ প্রয়োগের পর ইতিবাচক সাড়া মিলছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাফরুল্লাহর মঙ্গলবার দুপুর থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মামুন মোস্তফী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর তিনি জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে; যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া ওষুধে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে ও ভেন্টিলেশনে আছেন।
এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়- মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগর হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা বৈঠকে বসে। এতে নিউরোলজির অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, মেডিসিনের অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক আলী আহমেদ, কার্ডিওলজির অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, অধ্যাপক শফিকুল বারীসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর কিডনি সমস্যার পাশাপাশি লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া তিনি অপুষ্টিসহ সেপটিসেমিয়ায় (রক্তে সংক্রমণ) আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত ৩ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রোববার তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ৮২ বছর বয়সি এই বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা সবাইকে তার সুস্থতার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন।