নওগাঁয় আটকের পর র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় নারী আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মিতা রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জীবন নাহার ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাকলি রহমান এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেছেন, র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন হত্যার ঘটনা বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নগ্ন বহি:প্রকাশ।
তারা বলেন, অতিতের ঘটনাগুলোর প্রতিকার না হওয়ায় বারবার একই ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মনে রাখতে হজবেএকই সঙ্গে মামলা দায়েরের আগে আটক, বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশকে না জানানো সংবিধান, মানবাধিকারের মূলনীতি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন।
তারা বিবৃতিতে বলেছেন, মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে আঘাতের দাগসহ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে সুলতানার মৃত্যু হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছে জাতীয় নারী আন্দোলন।
র্যাবের ‘হেফাজতে’ নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে র্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২২ মার্চ ) সকালের দিকে নওগাঁ শহর থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আটকের পর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিন মারা গেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে। কিন্তু স্বজনদের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।