প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পাবনার ঈশ^রদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওনকে আটক করেছে ঈশ^রদী থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ( ২৩ মার্চ) শাওনের বিরুদ্ধে প্রেমিকা রূমানা ইসলাম রূপা ঈশ^রদী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতা শাওন ঈশ^রদীর ঈদগাহ রোডের শহদিুল ইসলামে পুত্র। প্রেমিকা রূমানা ইসলাম রূপার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। ঈশ^রদী ইডিজেডের নারী কর্মী রূপা ঈশ^রদী শেরশাহ রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
ঈশ^রদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের এবং ছাত্রলীগ নেতা শাওনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিকেলে শাওনকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণের পাঠানো হয়েছে।
থানা ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রেমিকা রূপা দীর্ঘদিন ধরে শাওনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে এড়িয়ে চলছিল। বুধবার সন্ধ্যার পর রূপা ঈদগাহ রোডে শাওনের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় বাড়ির লোকজন রূপাকে মারধর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে রূপা থানায় অভিযোগে বলেছে। এক পর্যায়ে রূপা গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। খবর পেয়ে ঈশ^রদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমাঝোতার মাধ্যমে বিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করলেও শাওন বিয়েতে রাজী হয় না। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ উভয়কে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে মামলা দায়ের হয় শাওণের বিরুদ্ধে।
প্রেমিকা রূপার অভিযোগ, শাওন তাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। এরপর রূপার নগদ টাকা হাতিয়ে বেশ কিছুদিন শাওন লাপাত্তা ছিলো।