ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বড় জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল টাইগাররা। শনিবার সিলেটে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে রেকর্ড ব্যবধানে হারায় টিম বাংলাদেশ। যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়।
টাইগারদের দেয়া ৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ এবাদত-তাসকিনদের অসাধারণ বোলিংয়ে ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে য়ায় আইরিশরা।
এর আগে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩৩ রান করেছিল। অবশ্য ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের।
মার্ক আডইয়ারের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ৯ বলে ৩ রান করা অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার লিটন দাস। কিন্তু দুজনের কেউই পারেননি ইনিংস লম্বা করতে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ২৬ রান করে ক্যাম্পারের বলে স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন। শান্ত লাইন মিস করে বোল্ড হন ম্যাকব্রিনের বলে, ৩৪ বল খেলে ২৫ রান করেন। ৮১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয়।
সাকিব আল হাসান শুরুর দিকে কিছুটা ভুগেছেন। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তিনি হয়েছেন সাবলীল। ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরকে তো দুঃস্বপ্নই দেখিয়েছেন সাকিব। ছয় বলের পাঁচটিতেই চার মেরে নিয়েছেন ২২ রান। প্রায় ১৩৭০ দিন আগে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া সাকিবের জন্য ছিল বেশ বড় সুযোগ।
কিন্তু তিনি আউট হয়েছেন খুবই সাদামাটাভাবে। ৯ চারে ৮৯ বলে ৯৩ রান করে গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ‘নব্বই’তে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অষ্টমবার আটকে গেলেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চবার। তার সঙ্গে তাওহীদের ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি দশ ম্যাচ পর বাংলাদেশে প্রথম তিন অঙ্ক ছাড়ানো জুটি।
এরপর মুশফিক সাত নম্বরে নেমে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ২৬ বলে ৪৪ রান করেছেন তিনি। এরপরের পুরো আলোটাই অবশ্য ছিল তাওহীদ হৃদয়ের দিকে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ব্যাটার পেতে পারতেন সেঞ্চুরির দেখা। তিন অঙ্কের দেখা পেলে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করার কীর্তি হতো। কিন্তু কেবল ৮ রানের জন্য সেটি করতে পারেননি তিনি। হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ। ৮ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৮৫ বলে ৯২ রান করেন তিনি।
শেষদিকে ইয়াসির আলির ১০ বলে ১৭, তাসকিন আহমেদের ৭ বলে ১১ ও নাসুম আহমেদের ৭ বলে ১১ রানে ইনিংসে বাংলাদেশ পায় রেকর্ড গড়া সংগ্রহ। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম।