গাজীপুরে গ্রীল কেটে বাড়িতে ঢুকে এক কলেজ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল লুট করে। সোমবার ভোর রাতে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকার উত্তর মোল্লা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম- মাহিউস সোনান চৌধুরী (১৯)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ১৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সালনা এলাকার উওর মোল্লা পাড়ার মৃত একেএম জালাল চৌধুরীর ছেলে। নিহত সোনান এ বছর গাজীপুর শহরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ এইচএসসি পাশ করেছে।
নিহতের মা ও স্বজনেরা সহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ১৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সালনা এলাকার উওর মোল্লা পাড়ার নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বসবাস করেন মৃত একেএম জালাল চৌধুরীর স্ত্রী ও দুই সন্তান। সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে ৮/১০ জনের সশস্ত্র একদল যুবক ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা দ্বিতীয় তলার জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের পৃথক কক্ষে জালাল চৌধুরীর স্ত্রী মেহজাবিন (৫৪) ও ছেলে মাহিউস সোনান (১৯) এর হাত-পা, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে। এসময় বাঁধা দিলে তারা সোনানকে তার হাত ও পা পেছন দিকে এক সঙ্গে বেঁধে গলায় বিছানার চাদরের টুকরো দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘরের আলমারী ভেঙ্গে ও তছনছ করে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২৫-৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
জিএমপি’র সদর থানার এসআই মোঃ বায়োজিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের মা মেহজাবিন আরো জানান, আমার ছেলের সঙ্গে কারো কোন শত্রুতা নেই। তবে আমার ছেলের পাওনা টাকা নিয়ে প্রায় ৫/৬ মাস আগে এলাকার কয়েক ছেলেদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেটির মিমাংসাও হয়ে গেছে। ওই ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না তা বুঝা যাচ্ছে না।
জিএমপি’র উপ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামসুর রহমান জানান, এটি ডাকাতির বা লুটের ঘটনা, নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত ও তাদের গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।