ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তি দলের বিপক্ষে যে কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই খেলায় জয়ের মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটের জয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফম্যান্স করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। তার কারণেই ইংল্যান্ডকে ১১৭ রানে অলআউট করা সম্ভব হয়।

১১৮ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭ বলে তিন চারে ৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বিকেল ৩টায় খেলাটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজের অফ স্পিনে কুপোকাত ইংলিশরা।

২০ ওভারে ১১৭ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের হয়ে মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। তার শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।

একটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিন শুরুতেই সাফল্য পান পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাসান মাহমুদের ক্যাচে পরিণত হন ডেভিড মালান। তিনি ৮ বলে ৫ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ২.২ ওভারে ১৬ রানে ভাঙেন ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি।

এক উইকেটে ৫০ রান করে ভালো পজিশনেই ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা।

সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ একের পর এক তুলে নেন ফিল সল্ট, জস বাটলার ও মঈন আলীকে।

তাসকিনের পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার ফিল সল্ট। তিনি ১৯ বলে ২৫ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ৬.৩ ওভারে ৫০ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

এরপর ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার বলটি বুঝতেই পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার বিদায়ে ৭.৬ ওভারে ৫৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলীকে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে বদলি খেলোয়াড় শামিম হোসেনের হাতে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করার সুযোগ পান মঈন। তার বিদায়ে ৮.৬ ওভারে ৫৭ রানে ৪ চতুর্থ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার স্যাম কারেন। তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে লাইন পরিবর্তন করেন মিরাজ, শেষ মুহূর্তে আর নিজের অবস্থান ঠিক করতে পারেননি কারেন। খেলার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। কারেন হয়েছেন স্টাম্পড।

ঠিক এক বল পরেই কারেনের মতো স্টাম্পড হন ক্রিস ওকসও। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেন তিনি। তারা বিদায়ে ২ বলের মধ্যে স্টাম্পড দুজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।