জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদার করা জরুরি।’

রবিবার ১৪৬তম আইপিইউ সম্মেলন উপলক্ষে বাহরাইনের রাজধানী মানামা সফররত স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিরলার সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।

এক্সিবিশন ওয়ার্ল্ড বাহরাইনের কনভেনশন ক্লাস্টার রুমে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ-ভারত সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা, বাংলাদেশের অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের ভূমিকা এদেশের মানুষ আজও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদার করা জরুরি। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ একত্রে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে।’

এ সময় ভারত জি২০ এর নেতৃত্ব গ্রহণ করায় ভারতীয় লোকসভার স্পিকার ওম বিরলার মাধ্যমে ভারতীয় নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনাসহ নানান ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে।’

সাক্ষাৎকালে ভারতীয় লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা বলেন, ‘জি২০ এর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংসদীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে ভারতীয় লোকসভা পি২০ সম্মেলনের আয়োজন করবে। এতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারকে ইতোমধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) শাহে আলম, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, রাহগির আলমাহি এরশাফ, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, যুগ্ম সচিব এম এ কামাল বিল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সৌজন্য সাক্ষাতের পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক্সিবিশন ওয়ার্ল্ড বাহরাইনের গ্রান্ড হল এবিসি-তে ১৪৬তম আইপিইউ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।