ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণের পর একটি ভবনের আংশিক ধসে তিনজনের প্রাণহানি কোনো নাশকতার ঘটনা নয়, একটি দুর্ঘটনা।
রোববার (৫ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কোনো নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি এবং বিভিন্ন কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটি তদন্ত করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করব এবং তদন্ত সংস্থা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে এবং একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্প্লিন্টার বা ধ্বংসাত্মক উপাদানের কোনো চিহ্ন খুঁজে পেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘তারা এখনও স্প্লিন্টার বা ধ্বংসাত্মক উপাদানের কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি।’
রোববার সকালে ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ ও পরে অগ্নিকাণ্ডে একটি ভবন আংশিক ধসে তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- তুষার, শফিকুজ্জামান ও আব্দুল মান্নান।
তুষার ও শফিকুজ্জামান কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন এবং আবদুল মান্নান একটি কোম্পানির অফিস সহকারী ছিলেন, যার অফিস ছিল ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো: শহিদুল্লাহ জানান, পপুলার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম- আয়েশা আক্তার আশা, হাফিজুর রহমান (৩৪), জহুর আলী (৬০), আকবর আলী (৫২) ও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান (৩৫)।
এর মধ্যে আয়েশা ৩৮ শতাংশ, হাফিজুর ৮ শতাংশ, জহুর ৪৪ শতাংশ, আকবর ৩৭ শতাংশ এবং আশরাফুজ্জামান ছয় শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আরো ৯ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন- নুরুন্নবী (২৭), তাজউদ্দীন (৩৫), মেহেদী হাসান (২৫), জাকির হোসেন জুয়েল (২৬), কামাল (৪০), কবির হোসেন (২৫), রাবেয়া খাতুন (২৩), তামান্না (২২) এবং অজ্ঞাত এক যুবক, যার বয়স ২৫ বছর।
সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিস্ফোরণের পর তিনতলা ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে এবং আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্স মিডিয়া সেল থেকে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করেছে।
বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।