গাজীপুরে পেটের ব্যাথা সইতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এবং মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় মায়ের ওপর অভিমান করে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। রবিবার দুপুরে পুলিশ কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম এনায়েতপুর এলাকা হতে ওই ছাত্রীর এবং কালীগঞ্জ থানাধীন বরাইয়া উত্তরপাড়া এলাকা হতে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলো- ভোলা জেলার সদর থানার কন্ডকপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে তানিয়া (২৫) এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বরাইয়া উত্তরপাড়া এলাকার গোলজার খানের (কাউলিতা গ্রামের চৌকিদার) ছেলে মিনহাজ খান (১৭)।
কাশিমপুর থানার এসআই তুহিন মিয়া স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম এনায়েতপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো তানিয়া। সম্প্রতি তার বিয়ে হলেও স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়নি। তার বাবা রাজমিস্ত্রি এবং মা লাভলী বেগম গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। সে গত কয়েকদিন ধরে পেটের ব্যাথায় ভুগছিল। পেটের ব্যাথার তীব্র যন্ত্রণা সইতে না পেরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী জানালা দিয়ে দেখলেও তাকে শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয় নি। এসময় পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিলেন না। দুপুরে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে কালীগঞ্জ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম ও নিহতের মা লাইলী বেগম জানান, গতকিছুদিন ধরে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে বায়না করে আসছিল মিনহাজ খান। মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় সে মায়ের ওপর অভিমান করে রবিবার দুপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
উভয় ঘটনায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের লাশ বিনা ময়না তদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।