সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (৮০) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। তাঁর একান্ত সচিব আক্কাস খান মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।

নাজমুল হুদা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১০টায় তিনি মারা যান।

১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি এই বর্ষীয়ান নেতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর তিনবার তিনি ঢাকা-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নাজমুল হুদার পরিবারে তাঁর স্ত্রী আইনজীবী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা এবং দুই মেয়ে অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনা রয়েছেন।

১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠন করলে নাজমুল হুদা তাতে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং তিনি ছিলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। ১/১১-এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। ২০১০ সালে ২১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বহিষ্কৃত হলেও তিনি বিএনপির দলীয় কাজ করতে থাকেন এবং ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তাঁর সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ২০১২ সালে ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

২০১২ সালের ১০ আগস্ট নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরের আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে বহিষ্কার হন নাজমুল হুদা। ২০১৪ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন এবং ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরেকটি নতুন দল গঠন করেন। দলটিকে এই মাসে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দিয়েছে।