রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বিকল্প পথে পণ্য পাঠাচ্ছে রাশিয়া। রোসাটমের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম তাস এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ জাহাজকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ওই জাহাজে রূপুপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের পণ্য ছিল।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পণ্য পরিবহনজনিত বর্তমান সমস্যা প্রকল্পের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তাছাড়া অন্য পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে পণ্য পাঠানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
রোসাটমের দাবি, নির্ধারিত সময়ের কথা মাথায় রেখেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। এরই মধ্যে বিকল্প পথের খোঁজ মিলেছে এবং এই মুহূর্তে সে পথ ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংস্থাটি আরও জানায়, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
জানা গেছে, ‘উরসা মেজর’ নামে একটি জাহাজ গত ১৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা দিয়েছিল। কিন্তু ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকারকে জানায়, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ নামে একটি রুশ জাহাজ। সেটির রঙ ও নাম পাল্টে ‘উরসা মেজর’ নামে চালানো হচ্ছে। জাহাজটিকে বাংলাদেশে ভিড়তে দিলে তা যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হবে, সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
এরপরই বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, উরসা মেজরকে বাংলাদেশের কোনো বন্দরেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তের কথা ঢাকায় রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্তিতস্কিকেও জানানো হয়।