গাজীপুরে বিকাশ প্রতারক চক্রের নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। তাদেরকে জেলার কালিয়াকৈর ও টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা, ১টি মোটরসাইকেল ও ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ- কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার গোবিন্দপুর এলাকার মৃত দধি মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে সুশীল (৪০), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার আটকান্দা গ্রামের জয়নালের ছেলে মামুন (২৫) ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার শিবরামপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নিলুফা (২৬)। তারা গাজীপুর ও আশেপাশের এলাকায় বসবাস করতো। এদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম নবমুসলিম।
জিএমপি’র ওই কর্মকর্তা জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার বিকাশ এজেন্টের একটি দোকান থেকে একটি মোবাইল চুরি করে ওই মোবাইলের বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে যায় একটি প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতে কালিয়াকৈর থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরীর টঙ্গী এলাকা হতে ওই চক্রের সদস্য মামুন ও নিলুফাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া নগদ ১৭ হাজার টাকা ও ১১টি মোবাইল ফোনসহ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে টাকা পাঠানোর কথা বলে কৌশলে প্রথমে একাউন্টের পিন নম্বর জেনে নিত। পরে ওই মোবাইল চুরি করে নিয়ে একাউন্টের সমুদয় টাকা হাতিয়ে নিত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ, সহকারি পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ ও মোঃ আসাদুজ্জামান এবং কোনাবাড়ি থানার ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।