প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রয়াত এইচ টি ইমামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গেলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পরে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তাকে নিয়ে দলের নির্বাচনী অফিসে এইচ টি ইমামের কক্ষে যান।

কক্ষে প্রবেশের পর ড. সেলিম মাহমুদ ও বিপ্লব বড়ুয়া তাকে আবারো ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে কবির বিন আনোয়ার ড. সেলিম মাহমুদ ও ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে নিয়ে ওই রুমে বসে বেশকিছু সময় আলাপ করেন। এদিকে এইচ টি ইমামের আসনে কবির বিন আনোয়ার বসছেন খবর শোনার পর পর তার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে উচ্ছ্বাস। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কবির বিন আনোয়ারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও, জনপ্রতিনিধিরাও নিজ নিজ ফেসবুকে কবির বিন আনোয়ারের ছবি দিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন তারা।

স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি কবির বিন আনোয়ারের মতো একজন বিচক্ষণ ও প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানেই তিনি অধিষ্ঠিত করেছেন।

কাজিপুর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামস-ই-এলাহী অনু বলেন, ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান কবির বিন আনোয়ার। প্রধানমন্ত্রী তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় আমরা সিরাজগঞ্জবাসী গর্বিত।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, উনার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন রতু দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজেও ঢাকা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মতো একজন নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। সিরাজগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর সিরাজগঞ্জে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। কবির বিন আনোয়ারের অপুর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জবাসী তাদের রাজনৈতিক অভিভাবককে ফিরে পাবে বলে আমি আশা করছি। জেলা আ.লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামছুজ্জামান আলো বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা পাই নাই এখনও। কিন্তু দলীয় কো-চেয়ারম্যান পদ শুন্য ছিল। সেখানে তাকে বসানো হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরাও তাকে স্বাগত জানাই। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম সহযোগী হবেন কবির বিন আনোয়ার।

 

মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি