গাজীপুরের এক ওয়াশিং কারখানা থেকে ওই কারখানার এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গলা থেকে দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের দেহ থেকে বিচ্ছন্ন মাথাটি মেশিন সংলগ্ন এক্সেল পাইপে ঝুলেছিল এবং মাথাবিহীন দেহটি মেশিনের পেছনের ড্রেনের পাশে পড়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মহানগরীর গাছা থানাধীন রাজ ওয়াশিং প্লান্ট লিঃ কারখানা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের নাম- ফুল মিয়া (৪৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর এলাকার বাগপাড়া জগতচর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।

জিএমপি’র গাছা থানার ওসি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ও কারখানার কর্মকর্তারা জানান, মহানগরীর গাছা থানাধীন রাজ ওয়াশিং প্লান্ট লিঃ কারখানায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী (ক্লিনার) হিসেবে চাকুরি করতেন ফুল মিয়া। তিনি বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় রাতের শিফটের কাজে যোগ দেন। শুক্রবার সকালে ডিউটি শেষে দীর্ঘ সময়েও বাসায় না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। তারা বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানান। একপর্যায়ে দুপুরে কারখানার নিরাপত্তা কর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে কারখানার ভিতরে বৃহৎ আকৃতির ওয়াশিং মেশিনের পিছনে ড্রেনের পাশে তার মাথা বিহীন লাশ দেখতে পায়। নিহতের গলা থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাটি ওই মেশিন সংলগ্ন এক্সেল’র পাইপের সঙ্গে উপরে ঝুলছিল। তার পরনে শীতের কাপড় ও পায়ে বুট ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার পর নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী (ক্লিনার) ফুল মিয়া রাতের শিফটে শীতের কাপড় চোপড় পড়ে কাজ করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, কোন এক সময় চলন্ত মেশিনের পাশে কাজ করার সময় তার পরনের কাপড় মেশিনের এক্সেলের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এতে গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে তার দেহটি দু’টুকরো হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।