সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরা (উত্তর) স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনে ট্রেন চলেছে।

ইতিহাসের সাক্ষী হতে প্রথম দিন মেট্রোরেলে চড়তে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনে জড়ো হওয়া নগরবাসীর যারা ট্রেনে চড়তে পারেননি, তারা মন খারাপ করে বাসায় ফিরেছেন। আর তাই দ্বিতীয় দিনে ফজর নামাজ পড়েই মেট্রোরেলে চড়তে লাইনে দাঁড়ান তারা।

কিন্তু দ্বিতীয় দিনও দুপুর ১২টা বাজার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রোরেলে প্রবেশের মূল গেট। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন বাইরে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা। সকাল থেকে অপেক্ষার পর মেট্রোরেলে চড়তে না পারায় ক্ষোভে মূল গেটে ধাক্কাধাক্কি করেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার গেট টপকে স্টেশনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার দুপুরে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) মেট্রোস্টেশনে দেখা যায় এমন চিত্র।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার পর পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় দিয়াবাড়ী মেট্রোরেল স্টেশনে ঢোকার প্রধান ফটক (গেট)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।

সেখানে অপেক্ষারত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেট্রোরেলের প্রথম দিনে না চড়তে পারার আক্ষেপ রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কারণ ওই দিন লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে সময় স্বল্পতায় ট্রেনে চড়তে পারেননি। তাই আজ আবার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু আজও উঠতে পারলেন না তারা।

এদিকে আজ (শুক্রবার) টিকিট কাটতে টিকিট অফিস মেশিনের (টিওএম) চেয়ে টিকিট ভেন্ডিং মেশিনে (টিভিএম) আগ্রহ ছিল যাত্রীদের। তারা নিজে নিজে টাকা প্রবেশ করে টিকিট সংগ্রহ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। যার ফলে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ টিভিএমের সামনে এবং একভাগ মানুষ টিওএম অফিসের সামনে ভিড় করেন।

এ ছাড়া আজকে সকাল ৮টা থেকেই মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে। আর উত্তরা থেকে আসা যাত্রীদের মতিঝিল রুটে পৌঁছে দিতে বিআরটিসি বাস আগারগাঁও স্টেশনের বি গেটের সামনে থেকে নিয়মিত ছেড়ে গেছে।